Bangladesh Homeopathy Research Center

Monday, September 22, 2025

বয়স্কদের সুষম খাদ্য

 অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
বয়স্কদের সুষম খাদ্য

আমেরিকায় বেশ কয়েক বছর আগে এক নির্দেশিত খাদ্য তালিকায় দুটো দলের জন্য ক্যালরিক চাহিদার পরিমাপ উল্লেখ করা হয়েছিল- একটা ৫১ বছরের কম বয়সিদের জন্য, অন্যটা ৫১ থেকে ৯০ বছর পর্যন্ত। সব ব্যক্তিকেই একই খাবার খেতে বলা হয়েছে। 

আবার এই নির্দেশ দানের প্রাক্কালে যে পরীক্ষা করা হয়েছে, তা পরিচালিত হয়েছে সুস্থ সবল স্বল্প বয়স্কদের ওপর। সুতরাং এখানে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। 

আমেরিকাতে নিউট্রিশন অ্যান্ড এজিং (পুষ্টি ও বার্ধক্য) নামক রচনায় বিখ্যাত পুষ্টিবিদ আরউইন রোজেনবার্গ উল্লেখ করেছেন- এ শতাব্দীর শুরুতে যেখানে মানুষের গড় বয়স ছিল ৪৭, সেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য আমরা আজকাল ৭৪ বছর বয়সে পৌঁছেছি। ৭৪ বছর বয়সীদের সঙ্গে ৯০ বছর বয়সিদের অনেক পার্থক্য আছে। আবার ৭০ বছরের বিভিন্ন পুরুষের মধ্যেও প্রচুর পার্থক্য দেখা যায়। 

তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে সব বয়স্ক ব্যক্তিই যে সুস্থ, সবল, স্বনির্ভর থাকবেন তা কিন্তু ঠিক কথা নয়। অনেক লোকও পাওয়া যাবে, যারা দুর্বল- বহুদিন ধরে অসুখে ভুগছেন, পরনির্ভর এবং বিভিন্ন কারণে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আছেন। আজকের বিজ্ঞানীদের চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত এই- যেন আগামী দিনগুলোতে আরও বেশিসংখ্যক বয়স্ক লোক সুস্থ, সবল কর্মক্ষম থাকতে পারেন। 

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বয়স্কদের জন্য ‘বিশেষ পুষ্টি চাহিদা’ নিয়ে যে গবেষণা চলছে তা এখনো তার শৈশবে অবস্থান করছে। তবুও আশা করছি, সত্বর এদের জন্য কোনো ‘নির্দেশিত পুষ্টি চাহিদা’ প্রকাশিত হবে। এ শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই আমরা হয়তো এবং বার্ধক্য জর্জরিতদের খাদ্য চাহিদা সম্বন্ধে সম্যক জানতে পারব, তথাপি এরই মধ্যে আমরা যতটুকু জানি তা হয়তো এই বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেকখানি ভালো থাকতে সাহায্য করবে। 

রোজেনবার্গ মনে করেন, নিম্নোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে চলা উচিত- 

একটা মানুষের বয়স যখন বাড়তে থাকে এবং ফলত যখন কাজের পরিমাণ কমে যেতে থাকে তখন শরীরের পেশিভরও কমে যেতে থাকে। ফলে এ ধরনের ব্যক্তির ক্যালরিক চাহিদাও স্বভাবতই কিছুটা কম। কিন্তু কম ক্যালরিযুক্ত খাবারে পুষ্টির প্রতিটি অংশ মেটানো সম্ভব নয়। 

অন্যদিকে, যে শরীর বেশি কাজ করবে তার জন্য ক্যালরিক চাহিদাও বেশি হবে এবং ক্যালরিক চাহিদা অপেক্ষাকৃত যতটা বেশি হবে, ততই সুষম খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে। অতএব মনে রাখবেন, বিশেষত বয়স্করা-আপনাদের শরীর সুস্থ, সবল, নীরোগ রাখতে অবশ্যই কাজ করতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে। 

যদিও বয়স্ককালের পেশিলুপ্তিকে বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট প্রোটিন বা আমিষ প্রয়োজন। তবুও লক্ষ্য রাখতে হবে যেন এই আমিষ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি না খাওয়া হয়। অধিক বয়সে বৃক্ক বা কিডনির কার্যকারিতা কমে যেতে থাকে। ফলে অতিরিক্ত প্রোটিন এই বৃক্কের ওপর অবর্ণনীয় চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অতএব মেপে মেপে আপনাদের প্রোটিন খেতে হবে।

ক্লিনিকাল পরীক্ষায় দেখা গেছে, সমপরিমাণ ভিটামিন-‘এ’, যা চর্বিতে দ্রবণীয়, তরুণ ও বয়স্কদের দেওয়া হলেও দুই দলের রক্তে এটির মাত্রা দুই রকমের। অতএব, এ ভিটামিনটি বয়স্কদের শরীরে জমা হতে হতে ক্ষতিকর মাত্রায় উঠে যেতে পারে।

বয়স্কদের মধ্যে বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনগুলোর জন্য প্রধান দায়ী হচ্ছে বিপাকীয় জারণপ্রক্রিয়া। ফলে বয়স্কদের এই জারণপ্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে এমন খাবার বেশি গ্রহণ করা উচিত। এমন দুটো খাদ্যাংশ হচ্ছে ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-ই। দেখা গেছে, ভিটামিন-‘সি’ বয়স্কদের চোখে যে ছাবি (ক্যাটার‌্যাক্ট) পড়ে তা বন্ধ করতে পারে বা শ্লথ করতে পারে এবং ভিটামিন-ই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। 

আমরা জানি, ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে অস্টিওপোরোসিস-এর সম্ভাবনা কমানো যায়, বিশেষ রজঃনিবৃত্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে। আবার আমরা এও জানি, ব্যায়াম বা কাজ হাড়কে শক্ত ও সুগঠিত রাখার শ্রেষ্ঠতম উপায়। অতএব, যে বয়স্ক ব্যক্তিরা কাজ করেন, ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য অবশ্যই ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন বেশিই লাগবে। 

বয়স্কদের মধ্যে যখন ভিটামিন বি-৬ (পাইরিডক্সিন)-এর ঘাটতি হয়, তখন তরুণদের তুলনায় এদের মস্তিষ্কে পরিবর্তন বেশি দেখা যায়। অতএব, বুড়ো মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখার জন্য এই খাদ্যাংশের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ৭০ বছরের পর পাকস্থলী হতে প্রায়ই কম পরিমাণ অ্যাসিড নিঃসৃত হয় এবং ফলে লৌহ, ফলিক অ্যাসিড বেশি করে গ্রহণ করতে হবে। 

জনসাধারণের জ্ঞাতব্যে সার্জন জেনারেলের উক্তি উদ্ধৃত করলাম- ‘সুচিন্তিত সুপরিকল্পিত খাদ্য গ্রহণ করুন, পর্যাপ্ত পরিশ্রম করুন।’ এই উক্তির বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন অল্প বয়স থেকেই মানুষ এর প্রয়োগ শুরু করবে। যেসব বয়স্ক লোক তাদের খাবার থেকে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর পর্যাপ্ত পরিমাণ আহরণ করতে পারছেন না, তাদের জন্য এগুলো ভিন্নতর উপায়ে (যেমন ওষুধ) হলেও সরবরাহ করা কাম্য। 

এ জন্যও পুষ্টিবিদদের সমর্থন এবং চিকিৎসকদের সহযোগিতা আবশ্যক। বুড়ো হয়ে যাওয়া মানে অথর্ব হয়ে যাওয়া নয়। এ জন্য জীবনের সপ্তম, অষ্টম ও নবম দশকেও শরীরকে সুস্থ সবল রাখার জন্য দেহ ও মনকে নব উদ্যমে গড়ে তুলুন, ভালো থাকতে চেষ্টা করুন।

তাই অবহেলা না করে এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে যথেষ্ট সচেতন ও যত্নবান হতে হবে। এ ছাড়া কথায় আছে, প্রতিকার নয় প্রতিরোধ উত্তম।

লেখক:  অর্থোপেডিকস সার্জারি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

Saturday, July 15, 2023

কিভাবে মেয়েদের সারভাইকাল অর্গাজম করা যায় আর এতে কতক্ষণ সময় লাগে

কিভাবে মেয়েদের সারভাইকাল অর্গাজম করা যায় আর এতে কতক্ষণ সময় লাগে?



যৌনমিলন আল্লাহর নিআমতসমূহের মধ্যে একটি নিআমত। আলিমের নিকট শুনেছি, জান্নাতের সুখগুলাের মধ্যে এই একটি সুখের অসীমাংশের ছােট একটি স্যাম্পল দুনিয়াতে দেয়া হয়েছে। আর এজন্যই মানুষ হন্যে হয়ে থাকে। খুন-ধর্ষণ-অপহরণ-পতিতাবৃত্তি-ব্যভিচার-পরকীয়াসহ কত অপরাধের জন্ম দেয় এই কয়েক মুহূর্তকাল জান্নাতী সুখের ক্ষুদ্রতম অংশটির জন্য। পরিপূর্ণ মিলন যেমন দেহমনকে চাঙ্গা করে সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে, ব্যর্থ মিলনও উদ্বিগ্নতা, দুশ্চিন্তা সহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক রােগের কারণ হতে পারে।

মিলন একটা শিল্প। শারীরিক ও মানসিক সুখের আধার বলে প্রাচীন ভারতীয় ও চাইনিজরা সেক্সকে আরও আনন্দঘন করার জন্য অনেক গবেষণা করেছে। আমি একটা ফর্মুলা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। মেডিকেল সেক্স নলেজ, আলিমগণের আলােচনা ও বিভিন্ন সময় পরীক্ষামূলক কিছু টেকনিক যা আমি। অন্যদের প্রেসক্রাইব করেছি ও ভাল ফিডব্যাক এসেছে, তার আলােকে।

তবে এ বিষয়ে নবীজীর হাদিস, সাহাবায়ে কিরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুমগণের আছার ও পূর্ববর্তী সালফে সালেহীনগণের কল সংবলিত সালাফগণের কোন কিতাব অবশ্যই আছে বলে আমার বিশ্বাস৷ তেমন কিতাব অনুবাদ হয়ে বাংলাভাষী পাঠকের হাতে আসা এখন সময়ের দাবি। আমার আশা, আমাদের আলিম অনুবাদকবৃন্দ এ বিষয়ে দৃষ্টি দিবেন৷

• কিছু বেসিক জ্ঞান

• চর্চা

• এক্স ফ্যাক্টর (এক এক কাপলের নিজস্ব কিছু পছন্দ আছে, যা সঙ্গীকে আবিষ্কার করে নিতে হয়) এই তিন জিনিস একসাথে হলেই আপনি পাবেন উভয়ের চরমতৃপ্তির সমন্বয়ে দেহমন চনমনে মিলন। আর একএকটা পারফেক্ট সেক্স আপনাকে দিবে:

– সুস্বাস্থ্য – প্রফুল্লতা ও দৃঢ় আত্মবিশ্বাস – কর্মোদ্যম – নজরের উপর শক্ত কন্ট্রোল

– নরম মেজাজ – বাধ্য সােহাগিনী স্ত্রী – নামাযে ধ্যান ও মন নিয়ন্ত্রণ -পূর্ণ ঘুম

পরিভাষা

শুরুতেই আমরা কিছু পরিভাষার সাথে পরিচিত হব, যেগুলাে আমরা পুরাে নােট জুড়ে ব্যবহার করব। ভালাে করে বুঝলে নােটটা বুঝতে সহজ হবে।

১. অর্গাজম : চরমপুলক/ চরমানন্দ। পুরুষের বীর্যপাতের সময় পুরাে শরীর কেঁপে ওঠে, মাথা খালি হয়ে যায়, ওটাই অর্গাজম। মহিলাদেরও অর্গাজম হয়। আপনি বুঝতে পারবেন।

যখন স্ত্রীর আলিঙ্গন হঠাৎ কঠিন হয়ে যাবে, আবেশে চোখ বন্ধ হবে, আপনাকে জোরে জোরে করতে বলবে, যােনিসের পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাবে, মাথা খালি হয়ে যাবে, কেঁপে কেঁপে উঠবে তারপর হঠাৎইশরীর ছেড়ে দেবে,

বুঝবেন অর্গাজম হচ্ছে। পুরুষের অনূর্ধ্ব ৫-৭ সেকেণ্ড আর মহিলাদের ৫-১০ সেকেণ্ড হয়। কোন পরিবারে প্রচুর সন্তান থাকাটাই স্ত্রীর যৌনতৃপ্তির আলামত না৷ অনেক মহিলা অর্গাজমের আগে যে সামান্য সামান্য মজা লাগে তাকেই মিলনসুখ মনে করে সারাজীবন। কাটিয়ে দেন। ৮/১০ টা সন্তানের জন্ম দেন। তৃপ্তি কি তা আর জানাই হয় না কোনদিন।

২. ফোরপ্লে : লিঙ্গ যােনিতে ঢুকানাের আগে স্ত্রীকে যেভাবে আদর সােহাগ করা হয়। চুম্বন, বিলাইচুম্বন (ফ্রেঞ্চকিস), স্পর্শ(touch), দলন (fondle), পেষণ (squeeze), লেহন (licking), চোষণ (sucking) এ সবকিছুই ফোরপ্লে। মানে ‘মেইনপ্লে’ র আগে যা করবেন সবই ‘ফোরপ্লে’। বাংলায় বলে ‘শৃঙ্গার’।

৩. পেনিট্রেশন : লিঙ্গ যােনিতে প্রবেশ করানাে। আমরা এত কঠিন শব্দ ব্যবহার করব না। আমরা ‘ঢুকানাে’ বলব। শুনতে। খারাপ শােনালেও বুঝতে সহজ হবে। শুদ্ধভাষাও ব্যবহার করা যায়, কিন্তু বুঝার সুবিধার্থে আমরা পরিচিত অশ্লীল শব্দই কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেও পারি।

৪. ইরেকশন: লিঙ্গ শক্ত হওয়া। লিঙ্গ কোন হাড্ডি না। এটা বিশেষ ধরনের জিনিস। রক্ত ঢুকে বড় হয়, শক্ত হয়। আবার রক্ত বেরিয়ে গেলে নরম হয়ে যায়। তাই রক্ত ও রক্তনালীকেন্দ্রিক অসুখবিসুখের কারণে পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে।

ফোরপ্লে

বাসায় যাবার আগে ফোনে ইঙ্গিত দিবেন: আমি আসছি, তােমাকে আমার দরকার। আপনার এই ইঙ্গিতেই আপনার স্ত্রী মানসিকভাবে তৈরি হতে থাকবে। উঠতে বসতে কাজের ফাঁকে আপনার কথা, আপনার আদর সােহাগের ফ্ল্যাশব্যাক তার মনে হতে থাকবে। তার শরীর সেক্সের জন্য রেডি হতে। থাকবে। এজন্য সেক্সের একঘন্টা আগে স্ত্রীকে জানান যে, আজ পাশা খেলা হবে।

পুরুষ মানুষ নতুনত্ব চায়। আগে থেকে জানালে সে আপনার জন্য সাজবে। সাজার জিনিসপত্র কিনে দিন। যে পােশাক আধুনিকারা পরে সেগুলাে কিনে দিন। ঘরে আপনার সামনে ফিটিং পােশাক পড়বে। তবে শ্বশুর শাশুড়ির সামনে যেন না পরে। যেমন মনে চায় বউকে দেখুন, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখুন। এক মুফতি সাহেব মজা করে বলেছিলেন, নাচ দেখতে মন চাইলে বউয়ের নাচ দেখেন। আপনার নজর ও ঈমানের হেফাজতে বউয়ের সাহায্য নিন। কোন ছিঃনেমায় একটা গান ছিলাে না? “ চাঁদ যদি ঘরে থাকে আকাশের চাঁদ চাইনা”।

আপনি সহবাসের আগে যেমন সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় ঘর্মাক্ত-ক্লেদাক্ত এবং দুর্গন্ধ অবস্থায় আপনার স্ত্রীকে চান না, সেও আপনাকে ঐ অবস্থায় কামনা করে না। তাই অফিস/ব্যবসা থেকে ফিরে যদি ঘর্মাক্ত থাকেন তবে সহবাসের আগেও গােসল করে নিন। নিজেকে ফ্রেশ করে স্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করুন।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে ঢুকে সবার আগে মিসওয়াক করতেন। মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে সহবাস করবেন না। স্ত্রী হয়ত কিছু মুখে বলবে না, সহ্য করবে। এটা যেমন আপনার অপছন্দ, তারও অপছন্দ। তাই সেক্স করার আগে বা ঘরে ঢুকেই প্রথমে মিসওয়াক করার সুন্নাহ জিন্দা করুন৷

হামলে পড়া পুরুষত্ব নয়। নিয়ন্ত্রণের নাম পুরুষত্ব। যার নিজের ওপর যত নিয়ন্ত্রণ সে তত পুরুষ।ধর্ষকদের আমি পুরুষই মনে করি না। স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার দিকে খেয়াল রাখবেন। অসুখবিসুখ, মানসিক কষ্টে থাকাকালে আপনি চাইলে সে হাদিসমতে দিতে বাধ্য। কিন্তু সেক্স কি জোর করে আদায়ের জিনিস। সেক্স তাে ভালােবাসার জান্নাতী চূড়া।

নিজ স্ত্রীকে দেখুন। প্রাণভরে দেখুন। স্ক্যান করুন। আর বললাম না। বাইরে সব দেখা হয়। শুধু নিজের বউকে দেখা হয়ে ওঠে না। যত কুদৃষ্টি সব স্ত্রীর দিকে দিন। ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকাকালে তাকে সবটুকু কামনা দিয়ে দেখুন। যারা বিভিন্ন যৌনসমস্যায় ভুগছেন, কঠোর নজরের হিফাজত করুন আর । নিজ স্ত্রীকে স্ক্যান করার মাধ্যমে আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলুন। লিঙ্গ নিস্তেজ, মাঝপথে নরম হওয়া, কামেচ্ছা কমে যাওয়া এগুলাের একটা বড় কারণ নজরের খিয়ানত আর নিজ স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ না থাকা।।

পুরুষের স্পর্শকাতর জায়গা হাতে গােনা কয়েকটা। লিঙ্গ আর অণ্ডকোষ(থলি)। বিশেষ করে। লিঙ্গের অগ্রভাগ। আরেকটা আছে যেটা সাধারণত ব্যবহৃত হয় না। তবে লিঙ্গকে শক্ত করায় এর সিরিয়াস ভূমিকা আছে। সেটা হচ্ছে পুরুষের নিপল। লজ্জা পাবেন না। অস্বস্তিকর মনে হলেও সত্য এটাই। আল্লাহ কোন কিছুই এমনি এমনি বানাননি। আমি পুরুষের নিপলের কাজ খুঁজে পাচ্ছিলাম না, আল্লাহ কেন দিলেন। অবশেষে পেয়েছি। আপনি যেভাবে আপনার স্ত্রীর নিপলকে আদর করেন, আপনার স্ত্রীও তেমন করে আপনার নিপলকে আদর করবে। বিশেষ করে যাদের লিঙ্গ দ্রুত নরম হয়ে যায়/ শক্ত হতে দেরি হয় তাদের জন্য দারুণ কৌশল। সুইচের মত কাজ করে। শুরুতে অস্বস্তি লাগলেও পরে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। যাদের সমস্যা নেই তারাও মিলনের আনন্দ বাড়াতে এটা করতে পারেন।

মেয়েদের দেহের স্পর্শকাতর জায়গা দু’একটা না। তাদের পুরাে দেহজুড়েই উত্তেজনা। আপনি যদি আপনার স্ত্রীর হাতের বুড়াে আঙুলটাও চুষতে থাকেন তাতেই তার যােনি ভিজে উঠবে। বিশেষ করে শরীরের ভাঁজগুলাে (আঙুলের ভাঁজ/কনুইয়ের ভাঁজ), কানের লতি, ঘাড়, গলা, নাভি, কোমর, উরু, নিতম্ব।

তার স্তন/ ঠোঁট/নিতম্ব এসবের প্রশংসা করুন। বিছানায় তার পারফর্মেন্সকে এপ্রিশিয়েট করুন। | তােমার গতকাল চুমুর রেসপন্স দারুণ ছিল। সে তাহলে সেক্সে আরও একটিভ হবে।

প্রথমেই স্তনে মনােযােগ দিবেন না৷ ফোরপ্লের শুরুতে বাকি সেনসেটিভ জায়গা (গলা/ঘাড়/কান/ ঠোঁট/হাত/পিঠ) ভ্রমণ শেষে স্তনে আসবেন। ধীরে ধীরে তার পুরাে শরীরকে জাগিয়ে তুলুন। আগেই বলেছি মেয়েদের পুরাে শরীরেই যৌনতা। হাত দিয়ে আলতাে স্পর্শ, চুমু, জিভ দিয়ে তার সব কাতর জায়গাগুলাে পরিভ্রমণ শেষ করে তারপর স্তনে আসুন।

এক এক মেয়ের এক এক উইক পয়েন্ট থাকে। কারাে লতি, কারাে ঘাড়, কারাে নাভি। আপনার স্ত্রীরউইকপয়েন্ট খুঁজে বের করুন। সারা শরীর পরিভ্রমণের সময় স্তন হালকা মর্দন করুন বা কাপড়ের উপরেই যােনিতে হাত বুলান। একসাথে মাল্টিপল স্টিমুলেশান (একাধিক জায়গায় উত্তেজনা সৃষ্টি) দেবার চেষ্টা করুন।

সবসময় সমান টাইম থাকে না। অনেকসময় শরীর ক্লান্ত থাকে বলে এত ইচ্ছাও করে না। তখন তিনটা জায়গা ফোরপ্লের জন্য বাছাই করুন। যােনিতে হাত বুলানাে, স্তন ও বিশেষ সেই উইকপয়েন্ট যা আপনাকে আবিষ্কার করতে হবে। জিগেস করতে পারেন, কি করলে তােমার সবচেয়ে ভালাে। লাগে।

যত ফোরপ্লে আপনি করবেন, যুদ্ধে আপনি তত এগিয়ে থাকবেন। সবচেয়ে ভাল হল, যতক্ষণ সে না বলবে ‘ঢুকাও’ ততক্ষণ ফোরপ্লে চালিয়ে যাওয়া। বেশি ফোরপ্লে করলে মেইনপ্লে অল্প করতেই তার অর্গাজম হয়ে যাবে। আপনি জিতে গেলেন। বিশেষ করে যারা বেশিক্ষণ বীর্য ধরে রাখতে পারেন না, তারা ফোরপ্লে বেশি করার চেষ্টা করবেন। তাহলে মেইনপ্লে কম করতে হবে।

স্তন সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা। সব মেয়েরই কমন উইকপয়েন্ট। এটা নিয়ে আপনি হাত দিয়ে,জিভ দিয়ে খেলবেন। কখনাে একটা, কখনাে একটাতে জিভ একটায় আঙুল, আরেক হাত যােনিতে বুলানাে। মাল্টিপল স্টিমুলেশনে মেয়েরা সহজে কাবু হয়ে যায়।।

যাদের এত লম্বা ফোরপ্লে টাইম শক্ত থাকে না, তারা লম্বা ফোরপ্লে করবেন না। আপনার শক্তহলেই আর স্ত্রীর একটু ভিজলেই ঢুকিয়ে দিন। বা নরম হয়ে গেলে স্ত্রীকে আপনার নিপল আদর করতে বলুন। আবার শক্ত হয়ে যাবে। যদি এই টেকনিক কাজ না করে তবে আগেরটাই ফলাে করুন। শক্ত হলেই ঢুকিয়ে দিন।

মেয়েদের অর্গাজম তিন প্রকার।

– ক্লাইটোরিস অর্গাজম ।

– ভ্যাজাইনা বা যােনিগাত্র অর্গাজম (জি-স্পট)

– সারভাইকাল অর্গাজম

যােনির উপরের প্রান্তে বোঁটার মত একটা জিনিসকে ক্লাইটোরিস/ ভগাঙ্কুর বলে। আপনি যদি শুধু।ক্লাইটোরিস আঙুল দিয়ে নাড়তে থাকেন, একটা পর্যায়ে অর্গাজম হবে। তবে এটা অর্গাজমগুলাের মধ্যে কম মজা। এটাকে ক্লাইটোরাল অর্গাজমবলে। বাকি দুটোর কথা পরে বলছি। ক্লাইটোরিস নাড়াচাড়া করে আপনি স্ত্রীর অর্গাজমটাকে একটু এগিয়ে রাখতে পারেন। ফলে ঢুকানাের পর ফুল। অর্গাজমের জন্য বেশি সময় নেবে না। যারা বীর্য বেশি ধরে রাখতে পারেন না, তারা এটা করে স্ত্রীর তৃপ্তি এনসিওর করতে পারেন। তবে নাড়াতে নাড়াতে অর্গাজম করে দেবেন না।।কারণ বাকি দুটো অর্গাজমে বেশি মজা। সবসময় এত অর্গাজমের সময় থাকেনা, বা পুরুষও এতখন শক্ত থাকেনা।

  • ব্লোজব বা লিঙ্গ চোষানাে খুবই বাজে জিনিস। নােংরা কাজ। একদম করবেন না। ঐমুখ দিয়ে আপনার বিবি কুরআন তিলওয়াত করে, যিকির করে। খবরদার এটা করাবেন না। আর এটা দেখতেই ভাল লাগে। আসলে মােটেই অতটা মজা লাগে না। তাছাড়া পর্নোতে নারীদের উপর প্রভাব খাটানাে। বুঝাতে (ডােমিনেন্স) এটা করা হয় অপমানসূচক ভাবে। ঘরের বউ আপনার সম্পদ, আপনার। অহংকার, আপনার ইজ্জত৷ আ বেশ্যাদের সাথে যা করে, আপনি বউয়ের সাথে তা করতে পারেন না। তাছাড়া লিঙ্গ চোষা, যােনি চোষা এগুলােতে অসুখবিসুখের সম্ভাবনা থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, এটা কোন কথা হলাে?

পেনিট্রেশন

  • যখন স্ত্রী ঢুকাতে বলবে তখন ঢুকানাে বেস্ট। না হয়, যােনি ভেজা মানেই যােনি এখন লিঙ্গ নেবার জন্য তৈরি। শক্তভাব হারিয়ে যাবার ভয় থাকলে শক্ত হলেই ঢুকিয়ে দিন। একবারে শুকনা শুকনা ঢুকালে ব্যথা পাবে। একটু ঢােকান, আবার বের করুন। এভাবে একটু একটু করে ঢুকান।
  • এভারেজ বাঙালি পুরুষের লিঙ্গ ৫.৫- ৬.৫ ইঞ্চি। আর মেয়েদের যােনিপথের গভীরতা ৩- ৪ ইঞ্চি,যা উত্তেজনায় কিছুটা বাড়তে পারে বেলুনের মত।। এরপর সারভিক্স শুরু। মানে ৩-৪ ইঞ্চি লিঙ্গ হলেই আপনি স্ত্রীকে সর্বোচ্চ অর্গাজম (সারভাইকাল) দিতে পারবেন। সুতরাং লিঙ্গের দৈর্ঘ্য নিয়ে মােটেই টেনশন নেই। বরং বেশি বড় লিঙ্গ পুরাে ঢুকিয়ে গুঁতােতে থাকলে বেচারী ব্যথা পেতে পারে। পর্নো দেখে একটা ধারণা হয়ে যায়, যত বড় মনে হয় তত মজা পায় মেয়েরা। ভুল ধারণা। অভিনয়ে সুখ ফুটিয়ে তুলতে হয় কষ্ট পেলেও। মাত্র ৩ ইঞ্চি লিঙ্গ দিয়েও নারীকে পূর্ণ অর্গাজম করানাে সম্ভব। নাে টেনশন, ডু ফুর্তি।
  • তবে লিঙ্গের বেড়/ঘের ভাল জিনিস। বেড় বেশি হলে যােনিগাত্রে ভালভাবে ঘষা লাগে। ফলে।যােনিগাত্র অর্গাজম/জি-স্পট অর্গাজম তাড়াতাড়ি হয়। হস্তমৈথুনে লিঙ্গের বেড় কমে যায়। গােড়ার শক্তি কমে যায়। তবে এরও উপায় আছে।
  • According to a study published in the British Journal of Urology International (BJUI), the average length of a flaccid penis is 0.98 inches, while the average length of an erect penis is 5.16 inches. The average girth is 0.99 inches for a flaccid penis and 4.59 inches for an erect penis. হলো তো? (Average Penis and Erection Size: What’s Normal?) কলিকাতা হারবাল, লিঙ্গ মােটা করুন, গন্ধগােকুল তেল এসব করে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন। না। আপনি একদম সুস্থ। আল্লাহ আপনাকে যা দিয়েছেন তা দিয়েই স্ত্রীর মাথা ঘুরিয়ে হসপিটালে ভর্তি করা সম্ভব। দরকার শুধু টেকনিক আর চর্চা।।
  • যােনিগাত্রের সামনের দেয়ালের ভিতরদিকে ২ ইঞ্চি উপরে একটু উঁচু মাংসপিণ্ড থাকে। আঙুল দিলেপাওয়া যায়। খসখসে লাগে। এর নাম জি-স্পট। লিঙ্গ চালনার সময় এতে বার বার ঘষার ফলে যে অর্গাজম হয়। তাকে বলে ‘জিম্পট অর্গাজম’।এটা ক্লাইটোরিস অর্গাজমেরচেয়ে বেশি তৃপ্তিদায়ক, গভীর।মানে আপনার লিঙ্গ ২ ইঞ্চি হলেও আপনি স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতেপারবেন। যাদের ঘের কম/বেশি, দুদলই চেষ্টা করবেন যােনির সামনের দেয়ালে ঘষা দেবার। সামনে থেকে করলে উপরমুখী এঙ্গেলে। আর পিছন থেকে করলে নিচমুখী এঙ্গেলে চালনা করতে হবে। তাহলে অল্প সময়ে অর্গাজম করানাে যাবে।
  • কোমরের নিচে বালিশ দিয়ে নিলে হিটগুলাে উপরমুখী হবে এমনিতেই। একজন আলিমের কাছে শুনেছিলাম বালিশ দিয়ে নেয়া নাকি সুন্নাত।
  • ভালেভাবে ফোরপ্লে করে নিলে ঢুকানাের পর ২/৩ মিনিটই যথেষ্ট যদি কৌশলগুলাে জানা থাকে।
  • আরেকটা অর্গাজম যেটা সবচেয়ে গভীর, পুরাে শরীর অংশ নেয়, সবচেয়ে তৃপ্তি, সেটা হল সারভাইকাল অর্গাজম। যােনিপথের শেষপ্রান্তে ঠোঁটের মত জরায়ুর যে অংশ তাকে সারভিক্স বলে।বাচ্চা হবার সময় ডাক্তার আঙুল ঢুকিয়ে দেখে কতটুকু খুললাে। এই সারভিক্সে লিঙ্গের অগ্রভাগ লাগানােকে বলে “সারভাইকাল । কিস/চুম্বন”। লিঙ্গে এই সারভাইকাল কিস নিতে নিতে একসময় অর্গাজম হয় যা একবারে ভিতর থেকে সারা শরীর কাঁপিয়ে। এটাই সারভাইকাল অর্গাজম। আপনি লিঙ্গের আগায় অনুভব করতে পারবেন সারভিক্স, একটু এবড়ােখেবড়াে অনুভব হবে। লিঙ্গ মােটা হলে অনেক সুবিধা একই সাথে তিন প্রকার অর্গাজম করানাের মত স্টিমুলেশন দেয়া যায়। না হলেও সমস্যা নাই। টেকনিক করে এঙ্গেলে খেলতে থাকেন। জি-স্পট আর সারভিক্স টার্গেট করে মারেন। ছক্কা হবে।
  • ঢুকিয়েই রক মেটাল শুরু করবেন না। লিঙ্গ ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকুন। তাকে বেড় ফিল করতে দিন। এরপর আস্তে আস্তে শুরু করুন। ঘষা দিয়ে দিয়ে। প্রথমেই মেটাল দিলে সে কিছুই বুঝবে না। আপনিও তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাবেন। প্রথমে রবীন্দ্র সংগীত, এরপর নজরুল, এরপর পপ, একদম শেষে মেটাল, যখন সে নিজে ইশারা করবে তাড়াতাড়ি করার। আর বিভিন্ন মেয়ের ভালাে লাগার রিদম/তাল/গতি আলাদা। এজন্য আপনার স্ত্রীর কোন তালটা সবচেয়ে প্রিয়, কোন গতিতে ঘােড়া। দৌড়লে তার বেশি ভালাে লাগে সেটা আবিষ্কার করুন, জেনে নিন। সেই তালটা ধরে রাখুন। উইন দ্য রেস।
  • মাল্টিপল স্টিমুলেশন দিন। নিচে খেলা চলুক। আর উপরে ঠোঁট বা নিপলে বা গলায় মনােযােগ দিন। প্রতিপক্ষ দ্রুত পরাজিত হবে।
  • লিঙ্গ পুরাে বের করে করে লম্বা লম্বা স্ট্রোক দেবেন না। এতে আপনি তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যেতেপারেন। প্রথমে হালকা কয়েকটা লম্বা স্ট্রোক দিয়ে যত গতি বাড়াতে থাকবেন তত স্ট্রোকের দৈর্ঘ্য। কমিয়ে দিন। সারভাইকাল কিস দেবার জন্য পুরাে বের করে আনার দরকার নেই। ভিতরে রেখে অল্প বের করে ঘন ঘন সারভাইকাল কিস দিতে থাকুন। তাহলে আপনিও ক্রিজে বেশি সময় থাকতে পারবেন। প্রতিপক্ষ দ্রুত আউট হয়ে যাবে।
  • অনেকসময় ঢুকানাের পর ভিতরে নরম হয়ে যায়। এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ব্যর্থ সেক্স অনেককারণে হয়। পরে আলােচনা আসবে। আগে সফল করে নিই। ভিতরে ঢুকানাে অবস্থাতেই বা বের করে আপনার নিপল স্টিমুলেট করাতে পারেন। তাহলে ভিতরে থাকা অবস্থায়ই আবার শক্ত হয়ে যাবে। টেনশন ফ্রী থাকবেন। টেনশন, আমি কি পারব না পিরবােনা- এসব চিন্তা বাদ দিন।
  • কেন কোন মেয়ে একটু রাফ পছন্দ করে। মানে কঠিন আলিঙ্গনের মাঝে খেলা পছন্দ করে। আবার কেউ আলতাে ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় খেলা পছন্দ করে। জেনেবুঝে নিন।
  • পজিশনের মধ্যে মিশনারী পজিশন, মানে সামনা সামনিই ভাল। পর্নোতে বহু পজিশন দেখায়।ওগুলাে দেখতেই ভালে লাগে। আসলে বেশি মজা না। মিশনারী পজিশনে ঠোঁট-স্তন এগুলা সব। নাগালে পাওয়া যায়। দুজনই এক্টিভ থাকা যায়। তার অর্গাজমে সে আপনাকে পুরাে পায়। আপনার সময় আপনি তাকে পুরাে পান। বাকিগুলােতে মাল্টিপল স্টিমুলেশনও দেয়া যায় না। হাতির বড় দাঁত দেখাই যায়। ওতে কামড় চলে না।
  • স্ত্রীর অর্গাজমের সময় তাকে জড়িয়ে ধরুন। চুমুতে ভরিয়ে তুলুন। শারীরিক তৃপ্তির সময়টাতে তাকে মানসিক তৃপ্তি ও আস্থা দিবে আপনার চুম্বনগুলাে।
  • যখন মনে হবে আপনি আর ধরে রাখতে পারছেন না, তখন মনোেযােগ সরিয়ে নেবেন। ব্যবসায়িক হিসেব নিকেশ, দেনা পাওনা, বিশ্বরাজনীতি এসব নিয়ে ভাবুন। হাসবেন না। সিরিয়াসলি। কিছুক্ষণ পরই আবার নিজেকে ফিরে পাবেন। আবার মনােযােগ খেলায় ফিরিয়ে আনুন। স্ত্রীর অর্গাজম আগে করানােই আপনার লক্ষ্য। এটাই যুদ্ধ যেখানে দুজন দুজনাকে সুখ দিতে চায়।
  • স্ত্রীকে অর্গাজম করাতে পারলে আপনার নিজের অর্গাজমও বহুগুণে বাড়বে। স্ত্রীকে সুখ পেতে দেখে আপনার মানসিক তৃপ্তি যােগ হবে শারীরিক তৃপ্তির সাথে। আপনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। আরও আত্মবিশ্বাসী হবেন যদি স্ত্রীকে প্রতিবারই একাধিক অর্গাজম উপহার দিতে পারেন। আমি মাঝে মাঝে ভাবি এক স্ত্রীতেই এই অবস্থা। যে চার বউকে প্রতিবার একাধিক অর্গাজম দেয় তার আত্মবিশ্বাস কোন লেভেলে উঠবে। এজন্যই সাহাবীরা কাউকে গােণায় ধরতেন না। স্ত্রীকে এক/ একাধিক অর্গাজম কনাের দ্বারা যে কনফিডেন্স আপনি লাভ করবেন তা আপনার কর্মক্ষেত্রে ও স্বাস্থ্যে সুপ্রভাব ফেলবে মারাত্মক।
  • মেয়েদের একাধিক অর্গাজম হলে সুখের আবেশে মাথা ঘুরে। এজন্য খুব বেশি অর্গাজম করাবেন না। নিজেকে ধরে ধরে খেললে আপনি ৩০/৪০ মিনিটও খেলতে পারবেন। কিন্তু এই ৩০ মিনিটে স্ত্রীর অর্গাজম করানাে সম্ভব (চর্চা করলে) অন্তত ৫-৭ বার। কিন্তু সমস্যা হল তাহলে সে সারাদিন কোন। কাজই করতে পারবে না। পড়ে পড়ে ঘুমাবে। শুকনাপাতলা হলে হাসপাতালে নেয়াও লাগতে পারে। তাই ২/৩ বারের বেশি অর্গাজম না করানােই ভাল। এজন্যই মনে হয় একাধিক বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
  • দ্বিতীয়বার অর্গাজম করাতে আবার রবীন্দ্র সংগীত থেকে শুরু করতে হবে। একটু রেস্ট নিতে পারেন যদি লিঙ্গ ঘুমিয়ে পড়ার ভয় না থাকে। আপনার অর্গাজম দেরিতে করবেন। পুরুষের অর্গাজম/বীর্যপাত হয়ে গেলে আর ওকে জাগানাে যায় না সাথে সাথে। আর পুরুষ ২ বার বীর্যপাত করলেই প্রচণ্ড ঘুম পায় হরমােনের কারণে। ২ বারের বেশি করলে আপনি সারাদিন ঘুমিয়ে কাটাবেন। এজন্য পুরুষঃস্ত্রী। অর্গাজম হওয়া দরকার ১:১ বা ১:২ বা ১:৩
  • আপনার একবার বীর্যপাত হবার পর যদি আবার করতে চান তবে মাঝে উযু করে নেবেন (হাদিস)।
  • সেক্স শুরুর আগে দুজনই প্রস্রাব করে নেবেন। নাহলে তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়ে যাবে।।
  • ছেলেদের সেক্স ওঠে দেখে। আর মেয়েদের ওঠে স্পর্শে। তাই ঘরে ডিমলাইট থাকলে ভাল। একদমউলঙ্গ হয়ে না করাই ভাল। নাইটি জাতীয় কিছু পরাতে পারেন। কাপড় দিয়ে নিজেদের ঢেকে নেবেন। মাঝে মাঝে টেস্ট চেঞ্জ করতে স্ত্রীর চোখ বেঁধে নিন। শুধু অনুভব করবে।।
  • বউকে উপরে দিবেন না। একটু বেকায়দায় বসে পড়লে পেনাইল ফ্রাকচার হতে পারে। তখন সারাজীবনের মত হারাবেন। মানে লিঙ্গের উপর বেকায়দায় পড়লে ভেঙে যেতে পারে।

Wednesday, April 26, 2023

নারী দের যোনি স্রাব ( vaginal discharge ) সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য

নারী দের যোনি স্রাব ( vaginal discharge ) সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য

প্রত্যেকটি নারীরই বয়ঃশন্ধির এক বা দু বছর আগে থেকে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা স্রাব নির্গত হতে পারে যা মেনোপজ এর পর বন্ধ হয়ে যায়। সারভিক্স এবং যোনির সেক্রেশন, পুরনো কোষ এবং স্বাভাবিক যোনির ব্যাকটেরিয়ার সমন্বয়েই তৈরি হয় এই স্রাব যা যোনিকে পিচ্ছিল রাখে এবং জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

মেয়েদের শরীরে এই যোনি শুধু জন্ম দিতেই তৈরি হয়নি, তার আরও অনেক গুরুত্ব আছে যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। আর সময় বিশেষে এই যোনি বা ভ্যাজাইনা (Vagina) থেকে যে তরল বেরিয়ে আসে, তাকেই যোনিস্রাব বা Vaginal Discharge বলা হয়। এই যোনিস্রাবের রং বা ঘনত্ব সময় বিশেষে বদলে যায়। শরীরের ভিতর কোনও অসুবিধা সৃষ্টি হলে এই যোনিস্রাবের মাধ্যমে অনেকসময় তা শনাক্ত করা যায়। কোন স্রাব স্বাভাবিক আর কোনটাই বা অস্বাভাবিক, সেটা বোঝা থাকলে অনেক জটিল রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।


যোনি স্রাব এর কারণ কি?

।।

স্বাভাবিক যোনি স্রাব মৃত ত্বক কোষ এবং ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে আপনার যোনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি একটি শ্লেষ্মা মত জমিন সঙ্গে সাদা. এটি গন্ধহীন এবং আপনার যোনিতে জ্বালা বা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে না।

আপনি যদি সাধারণত আপনার যোনিপথের থেকে বেশি তরল দেখেন এবং এটি আপনার যোনিতে চুলকানি বা জ্বলন্ত সংবেদন সৃষ্টি করে, তাহলে এটি অস্বাভাবিক যোনি স্রাবের লক্ষণ হতে পারে।

যোনিপথে স্রাবের কিছু কারণ নিম্নরূপ:

১. ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস একটি সাধারণ সংক্রমণ যা ঘটতে পারে যদি আপনি একটি নতুন সঙ্গীর সাথে যৌনভাবে সক্রিয় হন। BV একটি খুব দুর্গন্ধযুক্ত এবং জলযুক্ত যোনি স্রাব প্ররোচিত করে।যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি আপনাকে যৌন সংক্রামিত সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

২. গনোরিয়া এবং ক্ল্যামিডিয়ার মতো যৌন সংক্রামিত সংক্রমণ অস্বাভাবিক যোনি স্রাবকে প্ররোচিত করতে পারে। স্রাব সবুজ এবং হলুদ হবে।আপনি অন্যান্য উপসর্গগুলিও অনুভব করতে পারেন যেমন পেটে ব্যথা, মাসিকের সময় ভারী রক্তপাত, যৌন মিলনের পরে রক্তপাত এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বলন্ত।

৩. খামির সংক্রমণ সাধারণত ক্যান্ডিডা নামক একটি নির্দিষ্ট ধরণের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে সর্বদা উপস্থিত থাকে, তবে সংক্রমণের ক্ষেত্রে এটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। খামির সংক্রমণ সাধারণত একটি ঘন সাদা যোনি স্রাব তৈরি করে যা চুলকানি হতে পারে এবং যৌন মিলনের সময় ব্যথা হতে পারে।

৪. শরীরে ইস্ট্রোজেনিক হরমোনের কম পরিমাণের কারণে যোনি প্রাচীর পাতলা এবং শুকিয়ে যাওয়াকে ভ্যাজাইনাল অ্যাট্রোফি বলা হয়। এটি মেনোপজকালীন মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং যোনিপথে স্রাব এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে।এটি কখনও কখনও যোনি খালের শক্ত হয়ে যেতে পারে।

৫. ক্ল্যামাইডিয়ার মতো যৌনবাহিত সংক্রমণ প্রায়শই পেলভিক প্রদাহজনিত রোগের কারণ হয়। এটি ফ্যালোপিয়ান টিউব, জরায়ু, সার্ভিক্স এবং ডিম্বাশয় সহ একজন মহিলার প্রজনন অঙ্গকে সংক্রামিত করে। এই রোগটি ভারী যোনি স্রাব এবং নীচের পেটে ব্যথা প্ররোচিত করে।


যোনি স্রাব কতো ধরনের হয়?

।।

  • সাদা যোনি স্রাব

সাদা যোনি স্রাব সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং ইঙ্গিত করে যে আপনার যোনি এবং জরায়ু থেকে মৃত ত্বকের কোষ এবং ব্যাকটেরিয়া সরানো হচ্ছে।

  • ঘন সাদা যোনি স্রাব

যদি যোনি স্রাব সাদা তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ঘন হয় তবে এটি একটি খামির সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এটি যোনি এলাকার কাছাকাছি চুলকানি হতে পারে।

  • ধূসর বা হলুদ যোনি স্রাব

একটি অত্যন্ত খারাপ মাছের গন্ধ সহ ধূসর এবং হলুদ যোনি স্রাব একটি খামির সংক্রমণ নির্দেশ করে। এর অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে কিছু হল চুলকানি, জ্বালাপোড়া এবং যোনি বা ভালভা ফুলে যাওয়া।

  • হলুদ মেঘলা যোনি স্রাব

মেঘলা হলুদ যোনি স্রাব গনোরিয়ার লক্ষণ। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিই যাতে এটি পরীক্ষা করা যায়।

  • যোনিপথে হলুদ ও সবুজাভ স্রাব

আপনি যদি একটি হলুদ এবং সবুজাভ যোনি স্রাব পর্যবেক্ষণ করেন যা টেক্সচারেও ফেনাযুক্ত, তবে এটি ট্রাইকোমোনিয়াসিসের লক্ষণ হতে পারে। ট্রিচ নামেও উল্লেখ করা হয়, এটি একটি যৌনবাহিত রোগ।

  • বাদামী এবং লাল যোনি স্রাব

গাঢ় লাল এবং বাদামী যোনি স্রাব সাধারণত অনিয়মিত মাসিক চক্রের কারণে বা গর্ভাবস্থায় ঘটে।

  • গোলাপী যোনি স্রাব

গোলাপী যোনি স্রাব স্রাব হয় না কিন্তু গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের পরে জরায়ুর আস্তরণের স্রাব হয়। কখনও কখনও এটি ইমপ্লান্টেশন রক্তপাতকেও বোঝাতে পারে।


যোনি স্রাবের চিকিত্সা কি কি?

যোনি স্রাবের চিকিত্সা নির্ভর করবে অন্যান্য লক্ষণগুলির উপর যা আপনি এটির সাথে অনুভব করেন এবং এর রঙ এবং গঠন। আপনি যখন একজন ডাক্তারের কাছে যান, তখন তারা আপনাকে তাদের নমুনা সরবরাহ করতে বলতে পারে যা একটি মাইক্রোস্কোপের নীচে পর্যালোচনা করা হবে।

নিশ্চিত করুন যে আপনি ডাক্তারকে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করেছেন। তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে এমন কিছু সাধারণ প্রশ্ন হল:

আপনি কতবার যোনি স্রাব অনুভব করেন?

স্রাবের জমিন কি?

স্রাবের রং কি?

রং কি ঘন ঘন পরিবর্তন হয়?

আপনার যোনি স্রাব কোন গন্ধ আছে?

আপনি কি আপনার যোনি স্রাবের সাথে চুলকানি এবং জ্বালা অনুভব করেন?

অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষায় পেলভিক পরীক্ষা, প্যাপ স্মিয়ার এবং পিএইচ পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এটি ডাক্তারকে অবস্থাটি ঘনিষ্ঠভাবে বুঝতে এবং সেই অনুযায়ী চিকিত্সার পরামর্শ দেওয়ার অনুমতি দেবে। কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তাররা সার্ভিকাল ক্যান্সার পরীক্ষা করার জন্য আপনার সার্ভিক্স থেকে একটি স্ক্র্যাপ পরীক্ষা করে।

একবার কারণটি চিহ্নিত হয়ে গেলে, আপনাকে শর্তটি নিরাময়ের জন্য কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের পরামর্শ দেওয়া হবে। অবস্থা ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য আপনি কিছু হোম কেয়ার ব্যবস্থাও নিতে পারেন।

এখানে কিছু টিপস আপনি অনুসরণ করতে পারেন:

আপনার যোনিতে সাবান ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন কারণ এটি যোনি এলাকার pH ভারসাম্যকে বিরক্ত করে

যোনি এলাকার কাছাকাছি পারফিউম ব্যবহার করবেন না

সুগন্ধযুক্ত ট্যাম্পন এবং ডাচিং পণ্য এড়িয়ে চলুন

বেশিক্ষণ ভেজা অন্তর্বাস পরবেন না

দীর্ঘ সময় ধরে টাইট পোশাক পরবেন না; আপনার অন্তরঙ্গ এলাকা শ্বাস নিতে দিন

নিয়মিত চেক-আপের জন্য একজন ডাক্তারের কাছে যান, বিশেষ করে যদি আপনি যৌনভাবে সক্রিয় হন

Saturday, April 15, 2023

মেয়েদের কেন প্যান্টি পরতে হয়?

 মেয়েদের কেন প্যান্টি পরতে হয়?

১। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যঃ মেয়েরা পেন্টি তাদের গোপন অঙ্গের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে।

০২। পশ্চাৎ ভাগের আকৃতি ঠিক রাখার জন্য ঃ মেয়েদের পিছনের অংশের আকার ঠিক ধরে রাখতে পেন্টি সাহায্য করে ।

৩। কোন প্রকার ময়লা বা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত না হয় সেজন্যঃ নারিদের গোপন অঙ্গ যেন কোন প্রকার ময়লা বা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত না হয় সেজন্যও মেয়েরা পেন্টি ইউজ করে। বাহ্যিক অনেক ময়লা জীবাণু থেকে পেন্টি মেয়েদের দূরে রাখে।

৪। পিরিয়ডের সময় প্যাড পড়ার জন্য পিরিয়ডের সময় প্যাড পড়া পেন্টি অনেক সহজ করে দেয়।

০৫। নিজের নিরাপত্তার জন্য। দুর্বল মুহূর্তে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পেন্টি কাজ করতে পারে।

পেন্টি পড়ার উপকারিতা পেনটি পরার উপকারিতা

০১। কম্ফোরট ফিল করতে পারবেন। চলাচলের সময় অস্বস্তি বোধ করবেন না।

০২। পিছনের আকার ঠিক ভাবে ধরে রাখতে পেন্টি ইউজ করুন উপকারিতা পাবেন।

মেয়েরা পেন্টি কেন ব্যবহার করে

০৩। যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলেও নিজের সম্মান কিছুটা হলেও রক্ষা পাবেন।

০৪। দুর্বল সময়ে নিরাপত্তা পেতে পেন্টি কিছুটা হলেও সাহায্য করে।

০৫। পিরিয়ড এর সময়, ময়লা জীবাণু থেকে রক্ষা এসব এর কথা তো উপরে একবার বললাম ই । সেগুলোই পেন্টি পড়ার উপকারিতা ।

Friday, November 18, 2022

স্তনের ঝুলে পড়া রোধে করণীয় কী

স্তনের ঝুলে পড়া রোধে করণীয় কী?



শারীরিক গঠন ফিট না থাকলে মন খারাপ হতেই পারে। নারীর ক্ষেত্রে এই মন খারাপের কারণ হতে পারে স্তন ঝুলে যাওয়া নিয়ে। অল্প বয়সেই অনেক নারীর স্তন ঝুলে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হয়। এর অনেকগুলো কারণও আছে। তবে কারণ ও সমাধান জানা থাকলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।



স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণ:শরীরের গঠনের তারতম্যের কারণে স্তন ঝুলে যেতে পারে। শরীর মোটা থেকে চিকন বা চিকন থেকে মোটা হওয়ার কারণে স্তন ঝুলে যেতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যয়ামও স্তন ঝুলে যাওয়ার একটি কারণ।

সন্তান জন্মদানের কারণে অর্থাৎ প্রসূতিকালীন স্তনের আকার বড় হয়ে যাওয়ার কারণে স্তন ঝুলে যায়। আবার স্তন অতিরিক্ত বড় ও ভারী হওয়ার কারণেও ঝুলে যেতে পারে।

বয়সের কারণে স্বাভাবিকভাবেই স্তন ঝুলে যায়। অপ্রতুল স্তন-সার্পোটের কারণেও স্তন ঝুলে যায়। ধূমপানের চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা দুর্বল করে দেয় যা স্তন ঝুলে যেতে সাহায্য করে।

মেডিসিন:-

1)

ডোজ:-10 ফোটা 1/2 কাপ জলসহ। (কাঁচের গ্লাস /চিনামাটির কাপে খাবেন) দিনে দুইবার । (3–6 মাস )

ব্যাহিক প্রয়োগ :- নারকেল তেল পরিমান মতো + sabal serrulata-Q পরিমান মতো (নারকেল তেল 20 ড্রপ + মেডিসিন 10 ড্রপ)।

=} রাত্রে ব্রেস্টে মালিশ করে , টাইট ড্রেস পরে ঘুমাতে হবে।

—————————————————————————————

2)

ডোজ:- দুই চামচ করে দিনে তিনবার। (6 মাস)

সকালে দুটো ডিম সেদ্ধ খেতে হবে।

—————————————————————————

যদি ঝুলে গিয়েই থাকে, তাহল তাকে ফিট রাখার উপায়ও আছে। জেনে নিন কয়েকটি উপায়:

সঠিক ব্রা ব্যবহার: আপনি অবশ্যই এমন ব্রা পরুন যা আপনার স্তনকে সম্পুর্ন সাপোর্ট দেয়। লক্ষ রাখতে হবে আপনার ব্রা অবশ্যই আপনার সাথে সাবলীল ভাবে চলতে পারে- অর্থাৎ চলার সময় আপনার ব্রা লেইস যেন কাঁধ থেকে খসে না পড়ে অথবা বন্ধনি অতিরিক্ত টাইট কিংবা অতিরিক্ত লুজ না হয়। যখন ব্রা সাইজ নেবার জন্য মাপতে যাবেন, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার পুরাতন ব্রা পরনে থাকতে হবে এবং সে অবস্থায় স্তনের ঠিক নিচে মাপ নিচ্ছেন। এছাড়া কিছু ব্যায়ামও করতে পারেন-

মেডিসিন বল স্ল্যাম: দু’হাতে একটা মেডিসিন বলকে ধরুন। মাথার ওপরে বলটা ধরে তুলুন। হাঁটু সামান্য ভাঁজ করতে পারেন। এবার বলটাকে যত জোরে সম্ভব মাটিতে আছড়ে ফেলুন। আবার তুলে তিনটে সেটে করে মোট তিনবার করুন। আপনি বলটাকে যখন মাটিতে আছড়ে ফেলবেন,তখনই কিন্তু আপনার বুকের ব্যায়াম হয়। যত জোরে আছড়ে ফেলবেন,ততই বেশি আপনার পেশী কাজ করবে। তাই বুকের পেশীকে টোন করতে এই ব্যায়ামটা করেই ফেলুন নিয়ম করে।

পুশ আপস: ঝুলে যাওয়া স্তনকে আবার তার টোনড শেপে ফিরিয়ে আনতে পুশ আপস কিন্তু বেশ কার্যকরী। উপুড় হয়ে সোজা হয়ে শোন। হাত দুটো বগলের পাশে ভাঁজ করে রাখুন। পেটটা টান করে রাখবেন। এবার হাতের ওপর ভর দিয়ে পুশ আপস করুন। যতবার পারেন,ততবারই করবেন। নিয়ম করে করুন। আপনার স্তনকে টোনড করতে শুধু নয়, কাঁধের পেশীকে শক্তিশালী করতেও এই পুশ আপস দারুণ কাজ দেয়।বাড়িতে বসে খুব সহজেই করতে পারবেন।

ট্রাইসেপ ডিপস: একটা বেঞ্চে বসে হাত দুটো আপনার পাশে রাখুন। পা ছড়িয়ে টান করে রাখুন। এবার হাতদুটো আগের জায়গাতেই রেখে বেঞ্চ থেকে নিজেকে তুলুন। আস্তে আস্তে কনুই ভাঁজ করে নিজেকে মেঝের কাছে নিয়ে যান। এভাবে যতক্ষণ পারবেন করুন। আস্তে আস্তে সময় বাড়াবেন। এভাবে নিয়মিত করবেন। এই ব্যায়াম আপনার ট্রাইসেপের ওপর জোর দিলেও বুকের পেশী আর হাতের মাসলকেও কিন্তু টোনড রাখতে সাহায্য করে। আর বাড়িতে করাও খুব সোজা।

ডাম্বেল ফ্লাইস: সোজা হয়ে শুয়ে পরুন। এবার হাতদুটোকে কনুই ভাঁজ করে বুকের কাছে এনে রাখুন। দু’হাতে দুটো ডাম্বেল যেন থাকে। বেশি ওজন তোলার দরকার নেই। হাঁটু ভাঁজ করে রাখবেন। এবার হাতদুটো ছড়িয়ে সোজা করে আস্তে করে খুলুন। আবার আগের ভাঁজ করা অবস্থায় আনুন। এভাবে যতক্ষণ পারবেন করুন। বুকের পেশীকে টান করে ঝোলা স্তনকে নিজের শেপে ফিরিয়ে আনতে এই ব্যায়াম ট্রাই করুন।

মেডিসিন বল পুশ আপস: পুশ আপ পোজিশনে শোন। তবে এবার মাটিতে হাত রাখার বদলে হাত দুটো একটা মেডিসিন বলের ওপরে রাখুন। এবার পুশ আপ করতে শুরু করুন। একটা হাত মাটিতে আর একটা হাত বলের ওপরে আধা মিটার দূরত্বে রেখে পুশ আপ করুন। ১০-২০ বার করে তিনটি বা চারটি সেটে কমপ্লিট করুন। নিয়ম করে করবেন। ঝুলে যাওয়া স্তনকে টোনড অ্যান্ড ফিট করার জন্য এটি পারফেক্ট ব্যায়াম। আর ঘরে বসেই সহজে করতে পারবেন। তাহলে এবার দেরি না করে আজ থেকেই শুরু করুন নিজেকে পারফেক্ট শেপে ফিরিয়ে আনার অভিযান।

Sunday, September 4, 2022

যাদের স্বপ্নদোষ বেশি হয়, স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় কী?

 যাদের স্বপ্নদোষ বেশি হয়, স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় কী?

স্বপ্নদোষ হলো একজন নারী-পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ।তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে।

এতে ভয় পাবার কিছু নেই , এটা আমারও হয়েছিল ‍আমি প্রথমে খুব ভয় পেয়েছিলাম । আমি বন্ধ করার অনেক কৌশল খুজেছি। খুজতে গিয়ে জানতে পারি এটি স্বাভবিক নিয়ম, আবার কিছু সপ্তাহ পর বন্ধ হয়েগেছে।অনেকে অনেক কিছু খেতে বলতে পারে , যেমন- বেল পাতা । ভূলেও খাবেন না , এতে ‍আপনার এই সমস্যা সমাধান হলেও পরবর্তিতে অনেক বড়.. সমস্যা হতে পারে । তাই এর জন্য কোন ঔষধ্ও সেবন করবেন না।

স্বপ্নদোষ একেবারেই স্বাভবিক এবং শারীরবৃত্তীয় কারণে সংগঠিত একটি শারীরিক প্রক্রিয়া মাত্র। এই বয়সে এটি ঘটতে পারে। এতে ভীতির কোনো কারন নেই। ক্ষেত্রবিশেষ স্বপ্নদোষ এড়ানোর কিছু টিপস নিম্নেরূপ:

১.প্রতমত রোম্যান্টিক জাতীয় সিনেমা দেখা বন্ধ

করুণ ও মেয়েদের নিয়ে কল্পনা থেকে বিরত থাকুন।

২. ঘুমাতে যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন। যদিও

এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয় -

তবে এটি স্বপ্নদোষের চাপ

কমাতে শরীরকে সাহায্য করে।

৩. ঘুমাতে যাবার আগে এককাপ ঋষি পাতা (Sage

Leaves - google এ সার্চকরে দেখতে পারেন।

হয়তো আপনার অঞ্চলে এটি ভিন্ন নামে পরিচিত)

'র চা পান করলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন জনিত

স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

৪. অশ্বগন্ধা (Withaniasomnif era)

স্বপ্নদোষে সৃষ্ট সমস্যায় উপকার সহ

সর্বপোরী যৌন স্বাস্থ্য শুদ্ধি, হরমোন ব্যালেন্স

এবং হস্তমৈথুনের ফলে দুর্বল

হয়ে যাওয়া পেশীশক্তি ফিরে পাওয়া ও ভিতরগত

ছোট-খাট ইনজুরি সারিয়ে তুলতে পারে।

৫. ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন

না। যদি সামান্য পরিমান প্রস্রাবের লক্ষনও

থাকে বিছানায় যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন।

৬. রাতের খাবার খাওয়ার পর-পরই ঘুমাতে যাবেন

না। কিছুক্ষন হাটা-হাটি করুন।

৭. প্রতিদিন সামান্য করে হলেও

পুদিনা পাতা অথবা মিছরী খাবার অভ্যাস করুন।

৮. পবিত্র কোরআনের ৩০ নাম্বার পারার

"সুরা তারিক" পড়ে শয়ন করুন। হালকা জিকির

এবং অন্যান্য দোয়া পড়ে ঘুমাতে গেলে আল্লাহর

রহমতে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

Translate

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ