যাদের স্বপ্নদোষ বেশি হয়, স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় কী?
স্বপ্নদোষ হলো একজন নারী-পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ।তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে।
এতে ভয় পাবার কিছু নেই , এটা আমারও হয়েছিল আমি প্রথমে খুব ভয় পেয়েছিলাম । আমি বন্ধ করার অনেক কৌশল খুজেছি। খুজতে গিয়ে জানতে পারি এটি স্বাভবিক নিয়ম, আবার কিছু সপ্তাহ পর বন্ধ হয়েগেছে।অনেকে অনেক কিছু খেতে বলতে পারে , যেমন- বেল পাতা । ভূলেও খাবেন না , এতে আপনার এই সমস্যা সমাধান হলেও পরবর্তিতে অনেক বড়.. সমস্যা হতে পারে । তাই এর জন্য কোন ঔষধ্ও সেবন করবেন না।
স্বপ্নদোষ একেবারেই স্বাভবিক এবং শারীরবৃত্তীয় কারণে সংগঠিত একটি শারীরিক প্রক্রিয়া মাত্র। এই বয়সে এটি ঘটতে পারে। এতে ভীতির কোনো কারন নেই। ক্ষেত্রবিশেষ স্বপ্নদোষ এড়ানোর কিছু টিপস নিম্নেরূপ:
১.প্রতমত রোম্যান্টিক জাতীয় সিনেমা দেখা বন্ধ
করুণ ও মেয়েদের নিয়ে কল্পনা থেকে বিরত থাকুন।
২. ঘুমাতে যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন। যদিও
এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয় -
তবে এটি স্বপ্নদোষের চাপ
কমাতে শরীরকে সাহায্য করে।
৩. ঘুমাতে যাবার আগে এককাপ ঋষি পাতা (Sage
Leaves - google এ সার্চকরে দেখতে পারেন।
হয়তো আপনার অঞ্চলে এটি ভিন্ন নামে পরিচিত)
'র চা পান করলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন জনিত
স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৪. অশ্বগন্ধা (Withaniasomnif era)
স্বপ্নদোষে সৃষ্ট সমস্যায় উপকার সহ
সর্বপোরী যৌন স্বাস্থ্য শুদ্ধি, হরমোন ব্যালেন্স
এবং হস্তমৈথুনের ফলে দুর্বল
হয়ে যাওয়া পেশীশক্তি ফিরে পাওয়া ও ভিতরগত
ছোট-খাট ইনজুরি সারিয়ে তুলতে পারে।
৫. ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন
না। যদি সামান্য পরিমান প্রস্রাবের লক্ষনও
থাকে বিছানায় যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন।
৬. রাতের খাবার খাওয়ার পর-পরই ঘুমাতে যাবেন
না। কিছুক্ষন হাটা-হাটি করুন।
৭. প্রতিদিন সামান্য করে হলেও
পুদিনা পাতা অথবা মিছরী খাবার অভ্যাস করুন।
৮. পবিত্র কোরআনের ৩০ নাম্বার পারার
"সুরা তারিক" পড়ে শয়ন করুন। হালকা জিকির
এবং অন্যান্য দোয়া পড়ে ঘুমাতে গেলে আল্লাহর
রহমতে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment